শেরপুরে বাড়িঘর লুটপাট ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

শেরপুরে বাড়িঘর লুটপাট ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

শেরপুরে ৩৬টি বাড়িঘর, পুকুরের মাছ ও দোকানপাট লুটপাটসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। 

২১ জুলাই শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা সুমি ডোবারপাড় গ্রামে স্থানীয় মন্টু, আমিনুল, পারভীন গংদের সঙ্গে শাখাওয়াত, হাবিবুর, মাজেদা গংদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। 

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর দুপক্ষের মারামারিতে তৃতীয়পক্ষ হিসেবে তোতা মিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় তোতা মিয়ার প্রতিবেশী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সুমনসহ ২৩ জনকে জড়িয়ে মামলা করে। 

এতে ওই মামলার আসামীরা জেলে যাওয়ার পর বাদী বাবুল আক্তার গংরা আসামীদের বাড়ীঘর ও জিনিসপত্র লুটপাট করে ৩৬টি পরিবারের ক্ষতি সাধন করে। আসামীরা দীর্ঘ সময় বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ৬/৭ মাস জেলে থাকার পর জামিনে বাড়ীতে এসে নিজের বাড়ী ঘরের অস্তিত্ব না থাকায় বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। 

ওই মামলার বাদী বাবুল আক্তার গংরা আসামীদেরকে নতুন করে বাড়ী ঘর নির্মাণের কোন সুযোগ দিচ্ছেনা এবং রাস্তায় যায়ায়াত করতে বাধা সৃষ্টি করছে। 

এরই অংশ হিসেবে গত ১৯ জুলাই ২০২৩ বুধবার দিবাগত রাতে বাবুল আক্তারের পোষা লোক সৌরভ নামের জনৈক ব্যক্তি নিজের দোকানের জিনিসপত্র নিজেই নষ্ট করেন ও পটকা ফুটিয়ে  সুমনসহ অন্যান্য আসামীদেরকে আবারো মিথ্যা জালে ফাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

যাহা আশেপাশে লোকজন কেউ এমন অভিযোগের সত্যতা বলতে পারেনি। নিরীহ সুমন সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা নিজের বাড়ীতে বসবাস করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক/শেরপুর

Netrakona Protidin

নেত্রকোনা প্রতিদিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال